মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে আইনজীবীদের তরফে বেআইনী নির্মাণে নির্দেশের উপর ৩ টি আবেদন জমা পড়ে।তবে এদিন বিচারপতি মামলার শুনানির জন্য এই আবেদন গুলি গ্রহণ করেন নি।গার্ডেনরিচের ঘটনার পর এবার বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নিল উচ্চআদালত। বেআইনিভাবে নির্মাণ ভাঙার নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, -‘বাড়ি ভাঙার নির্দেশ সংক্রান্ত কোনও মামলাই শুনব না। যে আদালতই নির্দেশ দিক সেটাই থাকবে।আগে মানুষের জীবন সুরক্ষিত হোক। আদালত এই ধরণের মামলায় কোনও হস্তক্ষেপ করবে না’। এদিন এজলাসে এই সংক্রান্তু তিনটি মামলার আবেদন করেন আইনজীবীরা। তিনটি মামলাই গ্রহণ করেননি বিচারপতি।গার্ডেনরিচে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ এর কাছাকাছি । গত সোমবার রাত পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকল ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালায়। তাদের অনুমান, এখনও জনা কয়েক চাপা পড়ে থাকতে পারে ধ্বংসস্তূপের তলায়।এদিকে এই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। পুলিশ ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমকে স গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক অংশীদারের নাম পেয়েছে পুলিশ। তাঁর খোঁজ চলছে। তিনি পালিয়ে যেতে পারেন কিংবা চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে পুলিশের অনুমান। এদিন বাড়ি ভাঙার নির্দেশের বিরুদ্ধে কোনও মামলার অনুমতি দেননি বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মঙ্গলবার বিচারপতি সিনহার এজলাসে এই সংক্রান্ত তিনটি মামলার আবেদন আসে। তিনটি মামলাই গৃহীত হয়নি।মঙ্গলবার ইকবালপুরের একটি বেআইনি নির্মাণ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বাড়িটির বাইরের অংশ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মামলায় ৩০ দিন সময় চায় পুরসভা। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘একটা বাড়ির বাইরের অংশ ভাঙতে ৩০ দিন সময় লাগে? বাড়ি ভাঙার নির্দেশ কার্যকর করতে কি যন্ত্রপাতি আছে পুরসভার কাছে জানতে চাই’, জানান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুরসভায় আদৌ আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে কি না? তা জানাতে পুরকমিশনারের হলফনামা তলব আদালতের। আগামী ৯ এপ্রিল জানাতে নির্দেশ দেন বিচারপতি।এদিন আদালত জানতে চায়, -‘ বাইরের অংশের কলাম আর বিম ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাইরের দেওয়াল ভাঙতেও এত সময় লাগে কেন?’ বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘যখন একটা বিল্ডিং ভাঙে, তখন কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। আর সেই বাড়ি ভাঙতে এখানে ৩০ দিন সময় লাগবে কেন?’ এর প্রতুত্তরে সরকারি আইনজীবী বলেন, -‘যন্ত্রপাতির জন্য সমস্যা হচ্ছে। এরপরই আদালত সংশয় প্রকাশ করে, পুরসভার হাতে ঠিকমতো যন্ত্রপাতি আছে কি না? আগামী ৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওইদিনের মধ্যে পুরসভা কে জানাতে হবে বেআইনী নির্মাণ ভাঙতে পুরসভার যন্ত্রপাতি কি আছে?
