ইলাহাবাদ ২৯মার্চ:ইলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আইনকে “অসাংবিধানিক” ঘোষণা করার পর, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতিগুলি এই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এটি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার পরিবর্তে শিক্ষক সমিতিগুলি শিক্ষার মান, ইত্যাদির বিষয়ে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য আইনটিতে একটি সংশোধনেরও আহ্বান জানিয়েছে ।হাইকোর্ট সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগ থেকে থেকে মাদ্রাসাগুলিকে শিক্ষা বিভাগে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছে, যেমনটি ১৯৯৬ সালের আগে ছিল।
অল ইন্ডিয়া টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন মাদারিস আরাবিয়ার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুল্লাহ খান সাঈদী বলেছেন,তারা হাইকোর্টের আদেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে। সাঈদী বলেন,হাইকোর্টের আদেশ রাজ্যের বিভিন্ন স্বীকৃত এবং অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলিতে নথিভুক্ত প্রায় ২৬ লক্ষ শিক্ষার্থীর উপর অনিশ্চয়তার ছায়া ফেলেছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসাকে বন্ধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এতে বলা হয়, উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা শিক্ষাকে অনুমোদন বা পরিচালনার জন্য একটি আইন করা হয় ২০০৪ সালে। রায়ে আদালত সেই আইন বাতিল ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, সাংবিধানিকভাবে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে মাদ্রাসা প্রচলিত থাকলে তা এই সংবিধানকে লঙ্ঘন করে। এই শিক্ষাকে বাতিল করে শিক্ষার্থীদেরকে প্রচলিত স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয় আদালত। রাজ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেন, ইলাহাবাদ হাই কোর্টের এ রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ২৭ লাখ শিক্ষার্থী, ১০ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ২৫ হাজার মাদ্রাসা। এ রাজ্যের মোট ২৪ কোটি মানুষের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ হলেন মুসলিম। আদালতের নির্দেশের পর সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।মুখ্যমন্ত্রী আদিত্য যোগী একটি টিভি চ্যানেলে বলেছেন,রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায় কার্যকর করবে।