ইউপিতে শত শত সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীর বৃত্তি আটকে রাখা হয়েছে :অভিযোগ

ইলাহাবাদ ২ এপ্রিল:উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দপ্তর কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শত শত ছাত্র-ছাত্রীদের পোস্ট-ম্যাট্রিক বৃত্তির আবেদন এবার অনুমোদন করেনি। অদ্ভুতভাবে সাধারণ বিভাগ এবং এসসি/এসটি সম্প্রদায়ের আবেদনগুলি কোনও বাধা ছাড়াই অনুমোদিত হয়েছে।অথচ সংখ্যালঘুদের বৃত্তির অনুমোদন নেই।
এ বিষয়ে লখনউভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেল ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তারা উত্তর প্রদেশ সরকারের সংখ্যালঘু বিভাগের মুখ্য সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন। তাদের বক্তব্য,কি কারণে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি অনুমোদন দেওয়া হয়নি তা জানান। ২০২৩-২৪ সালের বৃত্তি সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা ছিল , তাদের আবেদনগুলি ছিল জেলা পর্যায়েই কেন যাচাই করা হয়নি জানাতে হবে।ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটির অধিকাংশ ছাত্রই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ারের ডিন অধ্যাপক এমএ খালিদ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন,“ তথ্য থেকে বোঝা যায় যে মাস্টার ডেটা (ফি এবং আসন) জেলা পর্যায়ে যাচাই করা হয়নি। তাই, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১.৩৯৯ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উপর প্রভাব ফেলেছে।তারা হতাশ হয়েছে।”
চিঠিটি সংখ্যালঘু কল্যাণ ও সমাজকল্যাণ বিভাগের পরিচালক এবং লখনউতে সংখ্যালঘু কল্যাণ ও সমাজকল্যাণের জেলা আধিকারিকদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
এমবিএ ছাত্র শাদাব খান সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছর বৃত্তির জন্য আবেদন করত এবং তা পেত। কিন্তু এবার তাদের বৃত্তি অনুমোদন করা হয়নি।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছিল যে আমাদের বৃত্তির আবেদনগুলি সমাজকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তারা ফরোয়ার্ড করেননি। আমরা যখন দপ্তরের কাছে গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার কর্মকর্তারা আমাদের অভিযোগের প্রতিকারের জন্য কোন প্রচেষ্টা করেননি।কথা পর্যন্ত বলতে চাননি।”
ছাত্রদের বার্ষিক প্রদত্ত বৃত্তির পরিমাণ তাদের টিউশন ফি এর উপর ভিত্তি করে দেওয়া হত। সাধারণত, শিক্ষার্থীরা মার্চ মাসে এবং এপ্রিলের শুরুতে সেই বৃত্তির অর্থ পেত। ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এ বছর তা পায়নি বলে জানান তিনি।
ইন্টিগ্রাল ইউনিভার্সিটি ছাড়াও, লখনউ, বাবু বানারসি দাস ইউনিভার্সিটি এবং মহর্ষি ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরাও দেখেছে যে তাদের আবেদনগুলি ফরওয়ার্ড করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান সচিবদের কাছে শিক্ষার্থীদের লেখা চিঠিটিতে উল্লেখ করা হয়েছে,- “আমাদের বৃত্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, আমরা আর্থিকভাবে দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছি। আমরা যদি বৃত্তি না পাই, তাহলে পরবর্তী সেশনে আমাদের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবেনা।”
শাদাব খান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরই আর্থিক অবস্থা খারাপ। এই বৃত্তি তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।এবার কেন বৃত্তি স্থগিত রাখা হয়েছে তা আমরা খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছি।