মণিপুরে অতর্কিতে হামলা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর, মৃত্যু ২ জওয়ানের

ইম্ফল ২৭ এপ্রিল: লোকসভা ভোটের মাঝেই মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা হল। শনিবার সকালে মণিপুরের বিষ্ণুপুরে সিআরপিএফ জওয়ানদের উপরে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। শেষ খবর পাওয়া অবধি, সংঘর্ষে দুই সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম আরও তিন জওয়ান।  এটি সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্য রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার নারানসেইনা গ্রামে সেনা ও দুষ্কৃতীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর একটি চেকপোস্ট রয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সেই চেকপোস্ট লক্ষ্য করেই গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হঠাৎ হামলায় সেনারা একটু হকচকিয়ে গেলেও, তারাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন।

কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর দুষ্কৃতীরা আউটপোস্ট লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। ওই শক্তিশালী বিস্ফোরণেই আহত হন চারজন সিআরপিএফ জওয়ান। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হয়েছেন বাকি দুইজন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

শেষ খবর পাওয়া অবধি, রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত ২টো ১৫ অবধি সেনা-দুষ্কৃতী সংঘর্ষ চলে। এই হামলার পিছনে কে বা কারা জড়িত, তা জানা যায়নি। অভিযুক্তদের ধরতে বিরাট তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, গত বছর শুরু হওয়া মণিপুর হিংসার বর্ষপূর্তি আর ঠিক ছ ‘দিন পরে৷ তার আগে জঙ্গিদের এই হামলা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ৷ পুলিশ মনে করছে, আগামী কয়েকদিনে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে এই ধরনের হামলা আরও বাড়তে পারে৷পুলিশ মনে করছে কুকি জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে।

জানা গিয়েছে, মৃত দুই সিআরপিএফ জওয়ান হলেন সাব ইন্সপেক্টর এন সরকার এবং হেড কনস্টেবল অরূপ সাইনি৷ আহত দু জনের নাম ইন্সপেক্টর যাদব দাস এবং কনস্টেবল আফতাব দাস৷

নির্বাচনের ডিউটির পর ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নের একটি ক্যাম্পে সিআরপিএফ জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ ওই শিবির লক্ষ্য করেই রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ রাত প্রায় ২.১৫ পর্যন্ত গুলি বর্ষণ করতে থাকে তারা৷

মণিপুরের উপত্যকাটি মূলত মেইতেই সম্প্রদায় অধ্যুষিত, অন্যদিকে মণিপুরের দক্ষিণে পাহাড় এবং অন্যান্য কিছু অঞ্চলে কুকি-জো উপজাতিদের আধিপত্য রয়েছে।