‘জমি দখলের টাকায় বেআইনী অস্ত্র কারবার’, সিটি সেশন কোর্টে জানালো ইডি

সোমবার একদিকে যেমন সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তি বাড়লো রাজ্যের।ঠিক তেমনি সিটি সেশন কোর্টে ইডি এজলাসে সন্দেশখালি মামলায় মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের পুনরায় জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিন সন্দেশখালি মামলার মূল অভিযুক্তকে কলকাতার সিটি সেশন কোর্টে পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। নিম্ন আদালত ধৃত কে আগামী ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এদিন সন্দেশখালির অস্ত্রভাণ্ডার এবং জমি দখলের টাকার ইস্যুতে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, -‘সন্দেশখালির জমি দখলের বেআইনি টাকা রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর কাছে গেছে! ‘ অন্তত ২-৩ জন মন্ত্রী এর সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছে ইডি। এই বেআইনি টাকার একটা অংশ দিয়েই অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি হচ্ছিল বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁদের অনুমান, সন্দেশখালিতে উদ্ধার হওয়া বিপুল অস্ত্রের সঙ্গেও এই টাকার সংযোগ আছে।শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। আদালতে তাঁরা এও দাবি করেছে, টেন্ডার নিয়ে বেনিয়ম করে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ফেরি সহ বিভিন্ন সরকারি টেন্ডার অবৈধভাবে নিজের অনুগামীদের টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। এই অভিযোগ করেই শাহজাহান সহ বাকি ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেছে ইডি। এদিন নিম্ন আদালতে শাহজাহান ছাড়াও তোলা হয়েছিল তাঁর ভাই আলমগির, অনুগামী দিদার বক্স মোল্লা এবং শিবপ্রসাদ হাজরাকে। প্রত্যেকের জন্যই ১৪ দিনের জেল হেফাজত চাওয়া হয়। গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পাওয়া গেছে। সন্দেশখালিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়ের বাড়ির মেঝে খুঁড়ে বিপুল অস্ত্রের হদিশ মেলে। তল্লাশি চালিয়ে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রচুর পরিমাণ বোমা উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সিবিআই-এনএসজি-র অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের পর ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে শাহজাহানের সঙ্গে কি আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচার চক্রের যোগ ছিল?শাহজাহান ছাড়াও আরও তিন জনকে নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ছিলেন শাহজাহানের ভাই আলমগির এবং অনুগামী শিবপ্রসাদ হাজরা, দিদার বক্স মোল্লা। তাঁদের কেউই জামিনের আবেদন করেননি আদালতে। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ইডির আইনজীবী বলেন -‘ সন্দেশখালি থেকে যে অস্ত্র কিছু দিন আগে উদ্ধার করা হয়েছে, জমি দখলের টাকা দিয়ে তা কেনা হয়ে থাকতে পারে’। তদন্তে সেই তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে।