মঙ্গলবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বিধাননগর এমএলএ – এমপি আদালত। এর আগে একাধিক তলব করেও হাজিরা দেননি সৌমিত্র খাঁ । আর এবার হাজিরা এড়ালে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর এমএলএ – এমপি আদালতের বিচারক। আদালত সুত্রে প্রকাশ , -‘ ২০২৩ সালে সোনামুখী থানা এলাকায় একটি অশান্তির ঘটনায় সৌমিত্রর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারধর, শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় সৌমিত্রকে এর আগে চারবার বিধাননগর এমএলএ – এমপি কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই ব্যস্ততা দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন সাংসদ’।মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। এদিনও তিনিও আদালতে উপস্থিত হননি। সৌমিত্রর আইনজীবী জানান, -‘ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁর মক্কেল হাজিরা দিতে পারছেন না’। এদিকে বার বার তলব করেও হাজিরা না দেওয়ায় সৌমিত্রর উপর এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। এরপরই আগামী ৯ জুলাই ফের তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক। আর সেই হাজিরা এড়ালে সৌমিত্রকে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করার হুশিয়ারি দিয়েছে আদালত । গত লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসন থেকে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে হারিয়েছেন সৌমিত্র। ৫৫৬৭ ভোটে জিতেছেন বিজেপির সৌমিত্র। যদিও আগের চেয়ে তাঁর ভোটের ব্যবধান অনেকখানি কমেছে। ২০১৪ সালে এই আসন থেকেই তৃণমূলের টিকিটে সৌমিত্র জিতেছিলেন প্রায় দেড় লাখ ভোটে। এরপর ২০১৯ সালে তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৭৮ হাজার। সংশ্লিষ্ট মামলাটি এক বছরের পুরনো। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল সোনামুখী থানার মানিকবাজার এলাকায় বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র নেতৃত্বে সেই কর্মসূচিতে সোনামুখী থানার তৎকালীন আইসি-র উদ্দেশে কুৎসিত গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। আইসি অভিযোগ করেন, -‘সৌমিত্র খাঁ তাঁর বাবা-মায়ের নাম নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন’। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৩, ১৮৯, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৫৪এ, ১০৫, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ।এই মুহূর্তে সৌমিত্র খাঁ রয়েছেন দিল্লিতে , সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সৌমিত্র জানিয়েছেন , ”আমি ঠিক জানি না। দিল্লি থেকে ফিরে এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করব। তবে বাংলায় যাঁরা তৃণমূল করেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। আমরা আইনের পথে চলি, আইন মেনে যা করার করব।”
