নয়াদিল্লি২৭জুন: ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)আদালত ভারতে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র মামলায় বাংলাদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের দুই সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজার কথা শুনিয়েছে। দোষী সাব্যস্ত দুই বাংলাদেশি নাগরিক হলেন মাহমুদ হাসান ওরফে শরিফুল হাসান এবং মুহাম্মদ সায়াদ হুসেন ওরফে মুহাম্মদ সাদ হুসেন ওরফে সোহান মোল্লা ওরফে শিহাব হোসেন। তদন্ত সংস্থার এক বিবৃতিতে এই শাস্তির কথা বলা হয়েছে। মিজোরামের আইজলের এনআইএ বিশেষ আদালত উভয়কেই পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১0,000 টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাস জেলের সাজার ঘোষণা দিয়েছে৷ ওই দুই বাংলাদেশি বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে এবং আধার কার্ড ইত্যাদির মতো জাল ভারতীয় পরিচয় নথিতে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করেছিল বলে এনআইএ জানিয়েছে৷
২৩ জানুয়ারি ২০২০- তারিখে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এনআইএ তদন্তের পরে ২০১৯-র সেপ্টেম্বরে মামলাটি গ্রহণ করে।
মামলার তদন্তের পর এনআইএ জানায়, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আনসার-আল-ইসলাম, যেটি আল-কায়েদার বাংলাদেশ শাখা বলে দাবি করা হয়, তাদের একটি ষড়যন্ত্রে সহায়তা এবং মদদ দিয়েছিল৷ সংস্থাটি ষড়যন্ত্রে তাদের ভূমিকার কথা বলে। এনআইএ-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ডিজিটাল নথির বিশ্লেষণের মাধ্যমে, জিহাদের প্রচারের জন্য অডিও এবং অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা, সেইসঙ্গে বোমা তৈরির হাতে লেখা বিবরণের ছবি, অন্যান্য কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এনআইএ-র দাবি,ওই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ১১টি মোবাইল ফোন এবং ১৬টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
এনআইএ জানিয়েছে,মাহমুদ হাসানের মোবাইল ফোন থেকে বেঙ্গালুরুর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এবং ধর্মীয় স্থানের ছবি পাওয়া গেছে।এনআইএ তদন্ত অনুসারে, মুহাম্মদ সায়াদ হুসেন তার হ্যান্ডলার বশির আহমেদের নির্দেশে প্রায়শই ঘুরে বেড়াতেন এবং তার পরিচয় গোপন করতে ছদ্মবেশ ধারণ করতেন।
