মাদ্রাজ হাইকোর্ট দাড়ি রাখার জন্য পুলিশ কর্মীর উপর আরোপিত শাস্তি বাতিল করেছে

চেন্নাই ১৭ জুলাই :মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ দাড়িরাখার জন্য পুলিশ কনস্টেবল জি আব্দুল খাদার ইব্রাহিমের উপর আরোপিত শাস্তি বাতিল করেছে। শাস্তির আদেশ বাতিল করার সময় উচ্চ
আদালত বলেছে যে দাড়ি রাখার জন্য মুসলমানদের শাস্তি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। কারণ তারা নবী সা.কে অনুসরণ করে দাড়ি রাখে। শুধুমাত্র দাড়ি রাখার শাস্তি হিসেবে ওই পুলিশ কর্মীর ইনক্রিমেন্ট দুই বছর কমানো হয়েছে।
জি আব্দুল খাদার ইব্রাহিমের দায়ের করা একটি আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এল ভিক্টোরিয়া গৌরি বলেন, আবেদনকারী একজন মুসলিম, তার বিশ্বাস অনুসারে দাড়ি রেখেছেন এবং ২০১৯ সাল থেকে গ্রেড ১ পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কাজ করছেন। তিনি ৩১ দিনের ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন, ৯ নভেম্বর, ২ ০ ১ ৮ থেকে ৯ ডিসেম্বর, ২ ০ ১ ৮ -এর মধ্যে হজ যাত্রার জন্যে।
হজ থেকে ফিরে আসার পর তিনি তার বাম পায়ে সংক্রমণের কারণে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট সহ ছুটি বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। তাকে সহকারি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । যিনি ছুটি দেওয়ার পরিবর্তে তার চেহারা এবং দাড়ি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। সেইসঙ্গে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (সশস্ত্র রিজার্ভ) ২০১৯ সালে একটি চার্জ মেমো জারি করে, অভিযোগের সংখ্যা নির্ধারণ করে – ৩১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার পরে ডিউটিতে রিপোর্ট না করা এবং ১০ থেকে ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত মেডিকেল ছুটি নেওয়ার জন্য তাকে শোকজ করেন । মাদ্রাজ পুলিশ গেজেটের আদেশের বিরুদ্ধে দাড়ি রাখার জন্য তাকে শাস্তি হিসেবে তিন বছরের জন্য ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়। ওই শাস্তি বাতিল করে, আদালত বলেছে “ভারতের সৌন্দর্য এবং অনন্যতা নাগরিকদের বিশ্বাসের বৈচিত্র্যের মধ্যে নিহিত ৷”
এটি ছাড়াও, আদালত তার বিরুদ্ধে অন্য শাস্তির আদেশ বাতিল করে বিষয়টি কমিশনারের কাছে ফেরত পাঠান। সেই সঙ্গে ঘটনার জন্য আদালত দুঃখ প্রকাশ করে।
আবেদনকারী দীর্ঘ ছুটি থেকে ফিরে আসার পরে সংক্রমণের কারণে মেডিকেল ছুটি চেয়েছিলেন, যা পুলিশ কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে দেওয়া উচিত ছিল বলে আদালত মন্তব্য করেছে।