প্রবল বৃষ্টিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত কেরল। তারমধ্যেই ঘটে গেল ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মঙ্গলবার ভোররাতে আচমকা ভূমিধসের ঘটনা ঘটে কেরলের ওয়েনাড়ে। মুহুর্তের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গোটা গ্রাম। মর্মান্তিক এই ভূমিধসে শতাধিক লোক চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৩। জখম কমপক্ষে ৭০ জন। প্রবল বৃষ্টির মাঝেই চলছে উদ্ধার কাজ। কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে পুলিস, এনডিআরএফ, সেনা, নৌসেনা ও বায়ু সেনা।
ইতিমধ্যেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযানের জন্য বিমান বাহিনীও পাঠানো হয়েছে ভূমিধসে বিধ্বস্থ এলাকায়। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার এমআই১৭ ও এএলএইচ পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ- জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন কন্ট্রোল রুম খুলেছে এবং জরুরি সহায়তার জন্য হেল্পলাইন নম্বর- ৯৬৫৬৯৩৮৬৮৯ এবং ৮০৮৬০১০৮৩৩ রাখা হয়েছে।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ওয়েনাড়ে ভূমিধসের খবরটি পেয়ে উদ্বিগ্ন আমি। এই ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে আছি। সকলের জন্য আমার প্রার্থনা রইল। যেখানে যেখানে ভূমিধস হয়েছে সেখানে উদ্ধারকাজ চলছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে গোটা ঘটনাটি নিয়ে কথা হয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যা করণীয় তা করা হবে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রতিবেশী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। ইতিমধ্যে ৫ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছে। পাশাপাশি দমকলের ২০ জন কর্মী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০ জন আধিকারিককে ওয়ানাড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। পাঠানো হয়েছে ১০ জন চিকিৎসককেও।
