নয়াদিল্লি :সংরক্ষণ ইস্যুতে পাটনা হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে বড় ধাক্কা খেল বিহার সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্ট বিহার সরকারের আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরে এই সংক্রান্ত শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। বিহারে ৫০ শতাংশ রিজার্ভেশন বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে পাটনা হাইকোর্ট। এর পর পাটনা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বিহার সরকার। হাইকোর্টের রায় স্থগিত করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে যে সেপ্টেম্বরে এই মামলার বিস্তারিত শুনানি হবে।
সোমবার বিহারে রিজার্ভেশন ৬৫ শতাংশে বাড়ানোর বিরুদ্ধে পাটনা হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত আপাতত বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিহার সরকারের রিজার্ভেশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে পাটনা হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার।
শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট পাটনা হাইকোর্টের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে । হাইকোর্ট বিহার সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে, যেখানে সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছিল। বিহার সরকার অনগ্রসর শ্রেণি, এসসি এবং এসটি সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করেছে।
বিহার সরকার যখন সংরক্ষণের সীমা বাড়িয়ে ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশ করে তখন রাজ্যের সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এই বিষয়ে পাটনা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। গত মার্চে এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তার রায় সংরক্ষণ করেন। এর পরে, ২০ জুন, হাইকোর্ট বিহার সরকারকে একটি বড় ধাক্কা দেয় এবং সরকারী চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজ্য কর্তৃক নির্ধারিত ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা বাতিল করে। হাইকোর্ট বিহার সরকারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে, যাতে সরকারী চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য অনগ্রসর শ্রেণীর সংরক্ষণ বাড়ানো হয়েছিল। বিহার সরকার অনগ্রসর শ্রেণী, এসসি এবং এসটি সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষণের সীমা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করেছে।
উল্লেখ্য, বিহারে সংরক্ষণ পৌঁছে গিয়েছিল ৭৫ শতাংশে। কারণ গত নভেম্বরে রাজ্য সরকার গেজেট দুটি বিলের বিষয়ে জানায়।