এনডিএ সরকার দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে , ওয়াকফ বিলের সংশোধনী প্রসঙ্গে তেজস্বী যাদব

বিহার বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদব প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এনডিএ সরকার দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে দুর্বল করার এবং ধর্মীয় উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
শুক্রবার তার বাসভবনে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যাদব এসব কথা বলেন।
তেজস্বী যাদব বলেন, “আমরা এনডিএ সরকারের প্রস্তাবিত এই অসাংবিধানিক এবং অপ্রয়োজনীয় সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি। এটি দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ভেঙে এবং ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানোর লক্ষ্যে আনা হয়েছে। যা ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে।
সংখ্যালঘু অধিকারের প্রতি তার দলের দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তেজস্বী যাদব বলেছেন যে তার দল এবং তার সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব উভয়ই সংখ্যালঘুদের বিষয়ে সংবেদনশীল এবং ধর্মীয় বিষয়ে কোন সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে । তিনি আরও বলেন, “প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলি শুধুমাত্র মুসলমানদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং সম্পত্তির অধিকারকেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে না বরং অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যার ফলে একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করা হবে ।
তেজস্বী যাদব মুসলিম সংগঠনের প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি এবং তাঁর দল এই বিলের বিরোধিতায় তাদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছেন। তিনি প্রস্তাবিত সংশোধনীকে সমর্থন করার জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারেরও সমালোচনা করে বলেন, “আমরা এটিকে কোন মূল্যে সংসদ থেকে পাস হতে দেব না এবং সব ফোরামে এই যুদ্ধ লড়ব। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই বিলের সমর্থনে রয়েছেন।”
সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন উত্থাপিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলটিতে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন অমুসলিম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কমপক্ষে দু’জন অমুসলিম সদস্যকে রাজ্য সরকার কর্তৃক রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগের অনুমতি দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও বিলে জেলা কালেক্টরকে একটি সম্পত্তি ওয়াকফ সম্পত্তি বা সরকারি জমি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।