বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে সকাল থেকে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি হাওড়া শহরে। হাওড়া স্টেশনে ট্রেন চলাচল এখনো পর্যন্ত স্বাভাবিক। তবে লোকাল ট্রেন যাত্রীদের সংখ্যা ছিল অনেক কম। পাশাপাশি একই চিত্র দেখা গেছে হাওড়া বাস স্ট্যান্ডেও। যেখানে পরিবহন ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক থাকলেও মানুষের তেমন একটা দেখা মেলেনি। তবে হাওড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে যাত্রীদের ভীড় থাকলেও ট্যাক্সির দেখা মেলেনি। পাশাপাশি হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাজার দোকান মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে
বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি নেতা সঞ্জয় সিং। পাশাপাশি দোকানপাট চালু রাখতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান তৃণমূল নেতা সুরজিৎ সাহা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বাগনান স্টেশনে সাময়িক ট্রেন অবরোধের চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মীরা। তবে সেখানে আরপিএফ এবং জিআরপি গিয়ে তা তুলে দেয়। মোটের উপর বিজেপির ডাকা বনধে হাওড়ায় তেমন প্রভাব পড়েনি।
বাংলা বনধের সমর্থনে হাওড়ার কদমতলার পাওয়ার হাউস মোড়ে পথে নামলেন বিজেপি কর্মীরা। দোকানপাট বন্ধ করানোর চেষ্টা। ব্যাঁটরা থানার পুলিশ এসে বনধ সমর্থকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। বাংলা বনধের সমর্থনে হাওড়ার কদমতলার পাওয়ার হাউস মোড় থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হয়। পঞ্চাননতলায় বিজেপি কর্মীরা জোর করে দোকানপাট বন্ধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ ও র্যাফের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিজেপি কর্মীদের। পুলিশ পঞ্চাননতলা থেকে উমেশ রাই, ওমপ্রকাশ সিং প্রমুখ বিজেপি নেতৃত্বকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।