ইলাহাবাদ ১২ সেপ্টেম্বর : ইউপির ৫১৩টি মাদ্রাসা এবার স্কুলে রূপান্তরিত হবে। উত্তরপ্রদেশের এই ৫১৩ টি মাদ্রাসা রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ (মাদ্রাসা বোর্ড) থেকে স্বীকৃতি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছে। মাদ্রাসা পর্ষদ সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
বোর্ড জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫১৩ টি মাদ্রাসা কাউন্সিল থেকে স্বীকৃতি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছে। এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব সভায় পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় । বৈঠকে উপস্থিত মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের সদস্য কামার আলি জানান, রাজ্যের ৫১৩টি মাদ্রাসা পরিষদ কর্তৃক তাদের দেওয়া স্বীকৃতি সমর্পণের আবেদন করে, আজকের বৈঠকে তাদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাদ্রাসাগুলো বিভিন্ন কারণে স্বীকৃতি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ থেকে নতুন স্বীকৃতি প্রক্রিয়া। যা বেশ কঠিন। আগে মাদ্রাসাগুলিকে জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও এখন এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রারকে। এর আগেও, রাজ্য সরকার মাদ্রাসা শিক্ষক এবং ছাত্রদের জন্য বায়োমেট্রিক উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
শিক্ষা পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের স্বীকৃতি নবায়ন করতে হয়, যা এখন খুবই কঠিন প্রক্রিয়া। মাদ্রাসাগুলোকে তাদের ছাত্রদের শিক্ষা দিতে হবে। তাই সেসব মাদ্রাসার অনেকেই মৌলিক শিক্ষা পরিষদ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। উত্তরপ্রদেশে প্রায় ২৫ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ মাদ্রাসা রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ কর্তৃক স্বীকৃত।
এর মধ্যে ৫৬০ টি মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে অনুদান পায় এবং প্রায় ৮৫০০ টি মাদ্রাসা স্বীকৃত নয়। মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে মাদ্রাসার স্বীকৃতি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া অনলাইনে করার প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এর আওতায় মাদ্রাসার কর্মচারীদের নিয়ে এখন জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করা যাবে। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদের বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য সভায় রেজিস্ট্রারকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষাকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে একেবারে নিষিদ্ধ করা হল। অংশুমান সিং রাঠোর এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় মাদ্রাসা নিষিদ্ধের আদেশ দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।
এ রায়ের মাধ্যমে মূলত উত্তর প্রদেশে মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য করা ২০০৪ সালের একটি আইন বাতিল করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়, এই আইন ভারতের সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতার লঙ্ঘন। রায়ে মাদ্রাসার অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রচলিত স্কুলে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
