মাওবাদীদের আরও ৭জন ক্যাডার নিহত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৮

রায়পুুর ও নয়াদিল্লি ১৯অক্টোবর:ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে একটা বড় সংঘর্ষের দু’সপ্তাহ পর, পুলিশ বলেছে যে মাওবাদীদের আরও সাতজন ক্যাডার বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৮ এ পৌঁছেছে। যেখানে এর আগে প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে বলে বলা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এ খবর করেছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী) এর পূর্ব বস্তার বিভাগ একটি প্রেস বিবৃতিতে বলেছে যে একই এনকাউন্টারে আরও সাতজন নকশাল মারা গেছে এবং তারা বন্দুকযুদ্ধের সময় মৃতদেহ তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) গৌরব রাই পিটিআইকে এ কথা বলেন।
৪ অক্টোবরের এনকাউন্টারে নিহত হন ৩৮ জন নকশালবাদী। রাজ্যের ২৪ বছরের পুরনো ইতিহাসে একক অভিযানে মাওবাদীদের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া জেলার সীমান্তে থুলথুলি এবং নেন্দুর গ্রামের মধ্যে একটি জঙ্গলে অভুজমাদ এলাকায় এনকাউন্টারের পরে নিরাপত্তা কর্মীরা ৩১ জন মাওবাদীর মৃতদেহ এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এর একটি যৌথ দল এই অভিযানে ছিল বলে পিটিআই জানিয়েছে।

প্রধান নিহত ক্যাডার ছিলেন মাওবাদীদের পশ্চিম বাস্তার বিভাগের “কমান্ডার” নান্দু মান্ডাভি। মান্দাভির মাথার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ছিল বলে পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন। বাকি নিহত ক্যাডারদের মধ্যে ২২ জনের প্রত্যেককে ধরিয়ে দিতে পারলে ৮ লাখ, ৫ লাখ এবং ২ লাখের পুরস্কার ছিল।। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩৮ জন ক্যাডারের মধ্যে ৩৬ জন সম্মিলিতভাবে ২ .৬২ কোটি টাকার পুরস্কার পাবে। তারা সকলেই দান্তেওয়াড়া, নারায়ণপুর, কোন্ডগাঁও এবং বস্তার জেলায় ২৫০ টিরও বেশি নকশাল-সম্পর্কিত ঘটনায় ওয়ান্টেড ছিল বলে এসপি জানিয়েছেন।
এসপি বলেছেন,এনকাউন্টারের পরে নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা উদ্ধার করা ৩১ টি মৃতদেহের মধ্যে ২৯ টি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, ।
পুলিশ জানিয়েছে, এই বছর এখন পর্যন্ত দান্তেওয়াড়া এবং নারায়ণপুর সহ সাতটি জেলা নিয়ে বস্তার অঞ্চলে পৃথক বন্দুক-যুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রায় ২০০ মাওবাদী নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলির দাবি, এনকাউন্টারে অনেক নিরস্ত্র সাধারণ লোক নিহত হয়েছে।