গুয়াহাটি ৪ ডিসেম্বর :মণিপুরে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে কথিত এনকাউন্টারে দশ কুকি-জো যুবক নিহত হয়। যাদের দেহে বুলেটের ক্ষত , বেশিরভাগ জনকেই পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্তের রিপোর্টে তা প্রকাশিত হয়েছে । মণিপুর সরকার দাবি করেছিল যে তারা জঙ্গি। অপরদিকে কুকি-জো সম্প্রদায় দাবি করে যে তারা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক ছিল। মণিপুরে চলমান জাতিগত সহিংসতায় গত বছরের মে থেকে এ পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছে ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তে বুলেটের আঘাতই রয়েছে এবং তাদের দেহে আর কোন নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এক নাবালক সহ মৃতদের নাম হল রামনিলিয়ান (২৯), ফিমলিয়েন কুং নুগুর্তে (৩১), এলভিস লালরোপেই জোতে (২১), লালথানেই (২২), জোসেফ লালডিটাম (১৯), ফ্রান্সিস লালজারলিন (২৫), রুলনিসাং (৩০) , লালসিয়েমলিয়ান হামার (৩০), হেনরি লালসাংলিয়ান (২৫), এবং রবার্ট লালনুন্টলুং (১৬)।
মণিপুর পুলিশের মতে, ১১ নভেম্বর একটি ভয়ঙ্কর এনকাউন্টারের সময় নিহত ১০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির মধ্যে যুবক, নাবালকও ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে যখন ছদ্মবেশে এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বিদ্রোহীরা জিরিবাম জেলার জাকুরাধোরে বোরোবেকরা থানা এবং একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা চালায়।
ময়না তদন্তের ফলাফল থেকে জানা যায় যে অসমের শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (এসএমসিএইচ) ময়নাতদন্তের সময় মৃতদের বেশিরভাগই খাকি পোশাকে ছিল। ১২ নভেম্বর ছয়টি মৃতদেহ এসএমসিএইচে আনা হয়, বাকি চারটি ১৪ নভেম্বর আসে, যাতে পচনের প্রাথমিক লক্ষণ ছিল।গুলির লাগার ক্ষতগুলি মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাদের শরীরে ছিল, বেশিরভাগ গুলিই পিছন থেকে করা হয়েছিল। চার জনের ডান চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল।