সংখ্যালঘুদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এখন শুভেন্দু, মমতার বিকল্প হিসেবে সর্বহারাদের পয়লা পছন্দ

তৃণমূল ছেড়েছেন অনেক দিন। মাঝখান দিয়ে গঙ্গা নদীতে জল বয়ে গিয়েছে অনেক। এক সময়ের তৃণমূলের দাপুটে নেতা ও প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী খোদ তার একসময়ের গুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখ। তৃণমূলে না থাকলেও বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে তিনি আছেন, যারা এক সময় তাঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে এসেছেন তৃণমূলে থাকতে, তাঁরাই বিজেপির ব্যানারে তাঁকে জেতাতে কসুর করেননি। বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে, আদিবাসী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে, প্রবলভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন ঢাল হিসেবে। সংখ্যালঘু মানুষেরা এখন তাঁর গেরুয়া পোশাক সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প বলে মনে করছেন। তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা এই মুহূর্তে তৃণমূল নেত্রীর চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। শুভেন্দু এর আগেও প্রমাণ রেখেছেন তিনি সংখ্যালঘু সমাজের পাশে রয়েছেন, তাঁদের ভালোবাসেন। তার জন্যই আজ বাংলার বৃহত্তর সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় বিজেপির পাশে দাঁড়াতেও প্রস্তুত। আসলে তাঁরা শুভেন্দুকে দেখেই চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে চান। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। ফের আরও একটা লড়াই। এখানে যদি সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হয়ে একটা বড় অংশ শুভেন্দুর থলিতে জমা পড়ে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও শুভেন্দুর সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। বাংলার মুসলমান সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুরা শুভেন্দুকে তাঁদের ভবিষ্যতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেখতে চান। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। বিভিন্ন গণসংগঠন, শুভেন্দুর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে কার্পণ্য করবেন না বলে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। আর তাদের শুভেচ্ছা ও অনুপ্রেরণা সঙ্গে নিয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাজিমাত করতে চান খোদ শুভেন্দু।