ব্যাঙ্কক, ৬ অক্টোবর: থাইল্যান্ডে শিশুদের একটি ডে কেয়ার সেন্টারে প্রাক্তন এক পুলিশকর্মীর হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২২ শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকটি শিশুর বয়স ২ বছরেরও কম ছিল। হামলাকারী শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ছুরি ও বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বের নং বুয়া লাম্পু প্রদেশে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, গণহত্যা চালিয়ে আত্মঘাতী হয় বন্দুকবাজ। তবে ঠিক কী কারণে এই হামলা, তা জানা যায়নি। হামলাকারী প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা গত বছর মাদক সেবনের অভিযোগে বরখাস্ত হয়েছিলেন। থাইল্যান্ডের স্থানীয় আধিকারিক জিদাপা বনসম জানান, ‘লাঞ্চ টাইমে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে এসে প্রথমে চার-পাঁচজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকবাজ। বুলেট লাগে সেই প্রতিষ্ঠানের এক ৮ মাসের গর্ভবতী শিক্ষিকার গায়ে। বনসম আরও বলেন, ‘প্রথমে সবাই ভেবেছিল যে বাজি ফাটছে।’ কিন্তু খানিক পরেই সেন্টারে জোর করে প্রবেশ করে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালায় বন্দুকবাজ। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় ছুটে যায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত চলছে। হামলাকারী অবসাদগ্রস্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’ বলে উল্লেখ করেছেন। হামলাকারী প্রাক্তন পুলিশকর্মীর নাম পানিয়া কামরাব (৩৪) বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, হামলা চালানোর পর ব্যাঙ্ককের নম্বর প্লেট লাগানো একটি সাদা টয়োটা গাড়িতে করে পালায় বন্দুকবাজ। পালানোর সময় কয়েকজনকে পথচারীকে ধাক্কা মেরে আহতও করে সে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর হামলাকারীর খোঁজ শুরু হলে আত্মঘাতী হয় সে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে বন্দুক হামলার ঘটনা বিরল। যদিও সেদেশে সহজেই বন্দুক রাখার লাইসেন্স পান সাধারণ মানুষ। এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে একটি ঘটনায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি মামলায় মেজাজ হারিয়েছিলেন এক সেনাকর্মী। ৪টি আলাদা জায়গায় হামলা চালিয়েছিলেন তিনি। মোট ২৯ জনকে খুন করেছিলেন বলে জানা যায়। সেনাকর্তার হামলায় জখম হয়েছিলেন ৫৭ জন। এরপর বৃহস্পতিবার এই নারকীয় হত্যালীলার সাক্ষী হল থাইল্যান্ড। যেখানে ২২ শিশুর প্রাণ গেল।
