কুন্তলের পাশেই দল! আপাতত যুব সম্পাদককে বহিষ্কার নয়

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সিবিআই এর জেরায় তিনি তা স্বীকারও করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার ভাগ কোন কোন নেতা মন্ত্রী পেয়েছেন সেটাও জানিয়েছেন বলে খবর। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। তাহলে কি কুন্তলকে গোরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের মতোই সুরক্ষা দিতে চাইছে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে দলের অন্দরে।সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবি আই এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। চাকরিতে নিয়োগের নাম করে তাঁর বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকার ওপরে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে এই যুব তৃণমূল নেতাকে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষসহ তৃণমূলের তাবড় নেতামন্ত্রীর সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে রবিবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার বিভিন্ন জায়গায় ছবি রয়েছে। আমরা যেখানে যাই সেখানে লক্ষ লক্ষ লোক উপস্থিত থাকে। কারও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দেখে বা ইতিহাস – ভুগোল জেনে সাক্ষাৎ করি না।’ প্রশ্ন উঠছে, সায়নীর পরেই গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন কুন্তল। তিনি তো কোনও সাধারণ কর্মী নন। তাহলে কি ইতিহাস – ভুগোল না জেনেই একজনকে রাজ্য সম্পাদকের পদে বসিয়েছেন সায়নী? কুন্তলের বহিষ্কার প্রসঙ্গে সায়নী বলেন, আপাতত কুন্তলকে বহিষ্কারের কোনও প্রশ্নই নেই। কুন্তল ঘোষ একজন যুব নেতা। তবে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনাও নেই দলের। দিও তৃণমূলের একাংশ মনে করছেন, সায়নী যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হওয়ার পর সংগঠনে কুন্তলের উত্থান ধূমকেতুর মতো। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রিয়পাত্র ছিলেন কুন্তল। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘শাসকদলের যুব সংগঠনের সভানেত্রী যদি তাঁর রাজ্য সম্পাদকের ইতিহাস – ভুগোল না জানেন তাহলে উদ্বেগের ব্যাপার। কুন্তলকে তো উনি নিজে রাজ্য সম্পাদক করেছেন। ইতিহাস – ভুগোল না জেনে এরকম আর কাকে কাকে সংগঠনের পদে বসিয়েছেন তিনি? সায়নীর দাবি সত্যি হলে মানুষকে ভাবতে হবে এরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন দলকে তারা আবার ভোট দেবেন কি না।’