শনিবার নবদ্বীপে মতুয়া সম্প্রদায় আয়োজিত এক সমাবেশে গিয়ে মুঘল শাসকদের নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকরের আশ্বাস দেন তিনি। বরাবর সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ালেও এদিন মতুয়াদের সামনে সতর্ক ছিলেন শুভেন্দু। ধর্ম পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুঘল শাসকদের দায়ী করেন তিনি। সংখ্যালঘুদের মন পেতে গিয়ে মতুয়াদের চটিয়ে ফেলছেন বুঝতে পেরে সতর্ক জায়েন্ট কিলার তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর না হওয়ায় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ মতুয়ারা। লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর করা না গেলে বঙ্গে পদ্ম শিবিরের উত্থানের পিছনে যাদের অবদান অনেকটাই,সেই মতুয়াদের সমর্থনে ভাঁটা পড়তে পারে বলে বুঝেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন তিনি বলে আশঙ্কায় রয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। তাই মতুয়া ভোটের ঘাটতি পূরণে সংখ্যালঘুদের ভোটকে পাখির চোখ করেছেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী ও মিঠুন চক্রবর্তীরা।
সিএএ নিয়ে সংখ্যালঘুদের অকারণে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সেই অতিরিক্ত সংখ্যালঘু তোষণ যে দলের হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঁটা ফেলতে পারে, তা আঁচ করতে পেরে এদিন মতুয়াদের সমাবেশে সুর নরম করেছেন বিরোধী দলনেতা। মতুয়াদের মন জয়ে তিনি বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ আইন প্রণয়ন করেছেন। আমরা,শুধু ওই আইন কার্যকরের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আশাবাদী,আর বেশি দিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। তাই আজ আমরা আওয়াজ তুলব,অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ চালু করতে হবে।’ ইসলামিকরণের বিরুদ্ধে এদিন সুর চড়িয়ে মতুয়াদের মন জয় করার চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। মুঘল শাসকদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাবর, জাহাঙ্গির, শাহজাহান, মোঘল, হানাদার পাকিস্তানি তারা বাধ্য করিয়েছিল ধর্ম পরিবর্তন করতে। আপনাদের ইসলামিকরণ করতে। সেদিন যদি হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুর অবতারের মতো অবতীর্ণ না হতেন, এই সমাজ ডঙ্গা বাজিয়ে ধ্বজ নিয়ে সনাতন সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারত না’।
