নয়াদিল্লি ২৭এপ্রিল:বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক সভাপতি প্রবীণ তোগাদিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে ভারতের চিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য মুসলিমদের দায়ী করেছেন।
তোগাদিয়া মনে করেন, এই জনসংখ্যার বৃদ্ধি অসমকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে আগামী বছরগুলিতে। তাই ওই রাজ্যের উচিত ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা।
উল্লেখ্য,ডিএনএ প্রোফাইলিং হল একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোষের মধ্যে অবস্থিত ডিএনএ বিশ্লেষণ করে কোন মানুষের একটি প্রতিকৃতি বা আলেখ্য তৈরি করা হয়, যে আলেখ্য তাকে ভবিষ্যতে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হতে পারে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তোগাদিয়া ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিমদেরকে দায়ী করেছেন।
তোগাদিয়া দাবি করেছেন, “এ দেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি বর্তমানে নেতিবাচক, ভারতের সামগ্রিক জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের জনমংখ্যা প্রকৃতপক্ষে হ্রাস পেয়েছে।অতএব, হিন্দুরা দেশের অসাধারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখেনি।”
ওই বিতর্কিত নেতা আরও বলেন,সংখ্যালঘু জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি আগামী ১৫-২০ বছরে অসমকে খারাপভাবে প্রভাবিত করবে।এই কারণে তিনি একটি কঠোর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমাদের সংগঠন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি জানিয়ে আসছে। আমি অসম সরকারকে ১৯৫১ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এবং ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।”
