প্রয়াগরাজ, ১৫ এপ্রিল:উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রাক্তন সাংসদ সদস্য আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফ আহমেদ হত্যার ঘটনায় ২১ পুলিশ কর্মীকে নোটিশ পাঠিয়েছে বিচারক বিভাগীয় কমিশন। এই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের ১৫ দিনের মধ্যে তাদের বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আতিক আশরাফ হত্যার এক মাস পূর্ণ হলো আজ। এই দিনেই অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল গভীর রাতে আতিক-আশরাফকে পুলিশ হেফাজতে গুলি করে হত্যা করা হয়। সংবাদমাধ্যম এর কর্মী পরিচয় দিয়ে হামলাকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
পুলিশ দুই ভাইকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই তিন অস্ত্রধারীর গুলিতে আতিক ও আশরাফ নিহত হন। ওই সময়ে তিন হামলাকারী ভুয়ো সংবাদমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে আতিক-আশরাফকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই দুই ভাই মারা যায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন হামলাকারীকে আটক করে। হামলাকারীরা গুলি করার পর আত্মসমর্পণ করে। আতিক ও আশরাফকে গুলি করা তিন অভিযুক্তের নাম হল লাভলেশ তিওয়ারি, সুন্নি এবং অরুণ মৌর্য।
উল্লেখ্য যে, গ্যাংস্টার’ থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফ কারাগারে ছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৫ এপ্রিল রাতে তাঁদের প্রয়াগরাজের কলভিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের সামনে পৌঁছানোর পর হাতকড়া পরা অবস্থায় তাঁরা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। ভিড়ের মধ্যে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে থাকা বন্দুকধারীরা খুব কাছ থেকে দুই ভাইকে গুলি করেন। এতে ঘটনাস্থলে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আর পুলিশ হেফাজতে আতিক-আশরাফ হত্যাকাণ্ডের পর ইউপির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
