সরকারি উদ্যোগে যুবকদের চাকরি বিলির মঞ্চ থেকে নাম না করে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এদিন রোজগার মেলার মঞ্চে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের ৭৭ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই মঞ্চকেই পুরোদস্তুরর দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যকে বিঁধতে ব্যবহার করেছেন মোদি। সরাসরি বাংলার নাম না করলেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নিশানা যে ছিল এরাজ্যের শাসকদল তা বুঝতে কারও অসুবিধে হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, “দেশে পরিবারতান্ত্রিকে দলগুলি সব ব্যবস্থায় ভাই-ভাইপোদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও সুপারিশ, ভাই-ভাতিজারা প্রাধান্য পেত। ’
বাংলায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের দিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক রাজ্যে টাকার বদলে চাকরির দুর্নীতির তদন্তে যা প্রকাশ্যে আসছে, সেটা আমাদের দেশের যুবসমাজের জন্য বিরাট চিন্তার ব্যাপার।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কী পদ্ধতিতে চাকরি হয় জানেন? সরকারি চাকরি চাইলে সব পদের জন্য আলাদা রেট কার্ড আছে। ছোট ছোট গরিব মানুষকে লুট করা হচ্ছে। সাফাইকর্মী থেকে ড্রাইভার সব চাকরির জন্য আলাদা আলাদা রেট রয়েছে। শিক্ষক থেকে নার্স, সব পদের জন্য ওই রাজ্যে রেটকার্ড, আর কাটমানির কারবার চলে।’
এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপিকেই স্বচ্ছ সরকার হিসেবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, দেশের মানুষের সামনে এখন দুরকম বিকল্প রয়েছে। একদিকে যেমন পরিবারতান্ত্রিক ভাই-ভাতিজাবাদ করা দলগুলো রয়েছে। অন্যদিকে যারা তার থেকে দেশকে সেফগার্ড দিচ্ছে তারা রয়েছে। একদল কাটমানি আর রেট কার্ডের মাধ্যমে দেশকে লুটে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ প্রধামন্ত্রীর। তাই তাঁর কথায় দেশকে ঠিক করতে হবে রেট কার্ড না সেফ গার্ড কোনটা তাঁরা বেছে নিতে চায়।
