রাশিয়ার অন্দরেই জ্বলছে আগুন! পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ভাড়াটে সেনা ওয়াগনার গোষ্ঠীর

প্রায় ১৪ মাস ধরে ইউক্রেনে ধুঁকছে পুতিনের সেনা। আর এরই মাঝে রাশিয়ায় তৈরি হয়ে গিয়েছে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। একসময় ইউক্রেন যুদ্ধের রণনীতি তৈরি করা হত দক্ষিণ রাশিয়ার যে অঞ্চল থেকে, সেই অঞ্চলই নাকি এবার হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে ক্রেমলিনের। একদা ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ ওয়াগনার গোষ্ঠীই রুশ সেনার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। পুতিন সরকার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ওয়াগনার গোষ্ঠীকে। মামলা রুজু করা হয়েছে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ওয়াগনার গোষ্ঠী ও পুতিন গোষ্ঠীর মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় বড় ভূমিকা পালন করেছিল এই ওয়াগনার গোষ্ঠী। শুধু ইউক্রেন নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাশিয়ার হয়ে ‘ছায়া যুদ্ধ’ করত এই ভাড়াটে সৈনিকদের দল। তবে এখন তারা রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই সশস্ত্র বিদ্রোহের কথা ঘোষণা করেছে। এই আবহে দক্ষিণ রাশিয়ার সেনা দপ্তর থেকে পালিয়ে গিয়েছেন রুশ সেনার চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ। এমনকি ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। ইয়েভজেনি পুতিনকে রাশিয়া থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে। এই আবহে মস্কো এবং দক্ষিণ রাশিয়ার রস্টভ-অন-ডন শহরে বিশাল সংখ্যা রুশ সেনা এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ইয়েভজেনি দাবি করেছেন, তাঁর গোষ্ঠীর মোট ২৫ হাজার সৈনিক রয়েছে। তারা রুশ সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে।
কী কারণে ওয়াগনার গোষ্ঠীর এই বিদ্রোহ? ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান অভিযোগ করেন, তাঁর সৈনিকদের ক্যাম্পের ওপর ভয়াবহ মিসাইল হামলা চালায় রুশ সেনা। এতে তাঁর অনেক সৈনিক মারা যায়। ওয়াগনার গোষ্ঠীর কমান্ডারদের কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এই দেশের শয়তান সামরিক নেতৃত্বকে খতম করা হবে। আমরা প্রায় ২৫ হাজার জন রয়েছি। এই বিশৃঙ্খলায় ইতি টানতে হবে আমাদের। এটা কোনও সামরিক অভ্যুত্থান নয়। এটা ন্যায়ের মিছিল।’ যদিও রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তরফে এই মিসাইল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।