কাশ্মীরে দীর্ঘতম জঙ্গি অভিযানে নিহত লস্কর-ই-তৈয়বা কমান্ডার উজাইর খান সহ আর ১

শ্রীনগর, ১৯ সেপ্টেম্বর: কাশ্মীরে দীর্ঘতম জঙ্গি অভিযানে বড়সড় সাফল্য। মঙ্গলবার নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর হাতে নিহত ১২ সেপ্টেম্বর দুই সেনা আধিকারিক, পুলিশ সহ এক সেনা জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) কমান্ডার উজাইর খান এবং তার সহযোগী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ গাদোল জঙ্গলের কোকেরনাগে জঙ্গি অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন ১৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধনছাক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন ভাট সহ আরও এক সেনা। এই চারজন আধিকারিকের মৃত্যুর জন্য মাস্টারমাইন্ড ছিল এই লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) কমান্ডার উজাইর খান।
গত বুধবার থেকে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে অভিযান শুরু হয়েছে। যা কাশ্মীরে চলা অভিযানের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম বলেই সেনাসূত্রে খবর।
এডিজিপি (কাশ্মীর) বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে জঙ্গি উজাইর খান, আরও একজনের দেহ তার পাশেই পড়ে ছিল। ওই এলাকায় আরও দু- থেকে তিনজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার খবর মিলেছে। সমুদ্র থেকেও তল্লাশি অভিযান জারি আছে। অভিযান বন্ধ করা হবে কিনা, প্রশ্নের জবাবে এডিজিপি জানান, বিশেষ ক্ষেত্রে তল্লাশি অব্যাহত থাকবে। সেনা ও পুলিশ জঙ্গি বিরোধী কার্যকলাপ নির্মূল করতে হেরন, হেক্সাকপ্টার, ড্রোন, কোয়াড-কপ্টার, আরপিজি এবং ড্রোন লাগানো বন্দুক সহ সর্বাধুনিক গ্যাজেটগুলি দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে। এটি কাশ্মীরের সবচেয়ে দীর্ঘতম অভিযান। সন্ত্রাস নিমূর্ল করতে নিরাপত্তাবাহিনী গত সাতদিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে।
নিহত জঙ্গি কমান্ডার উজাইর খানের বয়স ২৮ বছর। ২০২২-এ জঙ্গি দলে যোগ দেয় সে। ১২ সেপ্টেম্বর আরও দুই সহযোগীর সঙ্গে এই উজাইর সেনা আধিকারিকদের উপর হামলা চালায়।
বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে জানা যায় যে উজাইর ‘উসমান গাজী’, দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টে (টিআরএফ) যোগ দিয়েছিল। টিআরএফকে পাকিস্তান ভিত্তিক এলইটি-এর একটি শাখা বলেই মনে করা হয়।
প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তাবাহিনীর অনুমান কোকেরনাগে এই হামলা ২০২১ সাল থেকে ছকে বাধা জঙ্গিদের একটি কৌশল। ফাঁদ পেতে নিরাপত্তাবাহিনীকে ঘন জঙ্গলে নিয়ে আসা হয়, কারণ এই ঘন জঙ্গলে জঙ্গিরা খুব সহজেই গা ঢাকা দিতে পারে আর অতর্কিতে আক্রমণ চালাতে সুবিধা হয় ।