তিনশো পড়ুয়াদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ বিচারপতি বসুর

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে স্কুল বিষয়ক মামলা। স্কুলের অনুমোদন না থাকায় বিপাকে পড়েছিল কলকাতা শহরের এক বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা। ৩০০ জন পড়ুয়ার ভবিষ্যত্‍ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।এদিন হাইকোর্টের নির্দেশে সেই জট কাটল। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু জানান , -‘ ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে’। আদালত সুত্রে প্রকাশ, মধ্য কলকাতার সেন্ট অগাস্টিন নামে এক বেসরকারি স্কুলে দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন সমস্যা হয়েছিল তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল হয়। অভিযোগ, গতবছর ১৩ জুলাই নবম শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল বোর্ড পরীক্ষার জন্য। স্কুলে সেই টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এবছর তাদেরই বোর্ড পরীক্ষা। কিন্তু এখন পড়ুয়ারা জানতে পারে, স্কুলের কোনও অনুমোদনই নেই।হাইকোর্ট এই মামলায় একজন স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করেছিল। তাঁর ওপর দায়িত্ব ছিল, অভিযোগ খতিয়ে দেখার। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট নিয়োজিত স্পেশাল অফিসার জানান, -‘তাঁকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ’।স্কুলের আইনজীবী বলেন, ‘আমায় স্কুলের তরফ থেকে দু’জন শিক্ষক মামলার আগে বলেছিলেন স্পেশাল অফিসারকে কিছু টাকা দিলে আমাদের কোন সমস্যায় পড়তে হবে না। আমি তাঁদের তখনই বলি, আমি এই স্পেশাল অফিসারকে চিনি। উনি কোনওদিন টাকা নেবেন না।’রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ‘ওই স্কুলে যে বাচ্চারা আছে তাদের কেরিয়ারের কী হবে? আমাদের কেন আদালতে আসতে হল? স্কুলের যদি বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে স্কুল আগে কেন এল না? শিক্ষকরা আমাদের গুরু। আমাদের শত্রু নয়।’আদালত এই মামলার শুনানি শেষে নির্দেশ দেয়, -‘ পড়ুয়ারা যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তা নিয়ে স্কুল কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে’। সেইসঙ্গে এই মামলায় কলকাতা পুরসভাকে পার্টি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি বলেন,-‘ ভবিষ্যতে বাচ্চাদের কোনও সমস্যা হলে তার দায় থাকবে স্কুলের’। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ অক্টোবর রয়েছে বলে জানা গেছে ।