মল্লিকার্জুন খাড়গে রাষ্ট্রপতির ভাষণকে “লিখিত মিথ্যা” কথন বলে সমালোচনা করেছেন

নয়াদিল্লি ২৭ জুন:কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণের সমালোচনা করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতিকে বক্তৃতা দেওয়ার মাধ্যমে সস্তা করতালি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষায় নিজের সরকারের সাফল্যের কথা বলেন, সংসদের যৌথ অধিবেশনের স্বাগত ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর মুখেও খানিকটা সেই সুর শোনা গেল। রাষ্ট্রপতি দুই কক্ষের সাংসদদের সামনে বলে গেলেন, ভারতের জনগণ ‘স্থির’, স্থায়ী এবং মজবুত সরকার গড়েছে। যা দেশের উন্নয়নে সহযোগী।রাষ্ট্রপতি এদিন বলেন, “১০ বছর আগে ভারতবাসী অস্থায়ী, দুর্বল সরকারের পরিবর্তে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা স্থায়ী সরকার নির্বাচন করেছে। তৃতীয়বার সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের উপরই আস্থা রেখেছে।” সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদের সুর ভেসে আসে বিরোধী বেঞ্চ থেকে। বস্তুত রাষ্ট্রপতি মোদি সরকারকে শক্তিশালী এবং স্থির সরকার বলে সার্টিফিকেট দিলেও বিরোধীরা যে সেটা মানতে নারাজ, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ওই প্রতিবাদেই। আসলে প্রথম দুবার বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় এলেও তৃতীয়বার সেটা হয়নি। সেকারণেই স্থির সরকারের এই দাবিতে আপত্তি বিরোধীদের।
বিরোধী বেঞ্চ থেকে প্রতিবাদ যে শুধু ‘স্থির’ সরকারের বার্তার সময়ই হয়েছে তা নয়। রাষ্ট্রপতি মুর্মু যখন এই সরকারের আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তির কথা বললেন, তখনও উত্তাল প্রতিবাদ এল বিরোধী বেঞ্চ থেকে। আসলে রাষ্ট্রপতি এদিন মণিপুর ইস্যু সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে দাবি করেন, “এই সরকারের আমলে উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা চলছে।’ সঙ্গে সঙ্গে মণিপুরের কথা মনে করিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধী শিবির। এছাড়াও আর্থিক উন্নতি, পেপার লিক, ব্যাঙ্কিং সংস্কারের মতো ইস্যু যখন রাষ্ট্রপতি তুললেন, তখন প্রতিবাদের সুর ভেসে এল বিরোধী শিবির থেকে।