রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। বিতর্কের জেরে বিপাকে পড়ে দলের মুখরক্ষা করতে ক্ষমা চাইতে হয় খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। অখিল গিরির মন্তব্যকে ইস্যু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু করে বিজেপি। এরই মাঝে বিজেপিকে পালটা চাপে ফেলতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari) কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তাঁর সম্পর্কে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বীরবাহার দাবি, তাঁকে অপমান করে আদতে তফসিলি উপজাতির মানুষকে অপমান করা হয়েছে। বেশ কয়েকমাস আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন ‘বীরবাহার মতন নেতা নেত্রীদের জুতোর নীচে রাখি’। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে অখিল গিরির অবমাননাকর মন্তব্যের পর তৃণমূল বিপাকে পড়তেই বীরবাহা সম্পর্কিত পুরানো ভিডিও সামনে এনে পালটা চাপ সৃষ্টি করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বীরবাহা ইস্যুতে মঙ্গলবার এক দলীয় কর্মসূচীতে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। আর এরপরই অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বীরবাহার দাবি, তাঁকে অপমান করে আদতে তফসিলি উপজাতির মানুষকে অপমান করা হয়েছে।এই প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেত্রী ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু বীরবাহা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের জন্য বিজেপি সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কি পারবেন ক্ষমা চাইতে? বুধবার বীরবাহা হাঁসদা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ঝাড়গ্রাম থানায়। মঙ্গলবার একই ইস্যুতে ভগবানপুর, কাঁথি, এগরা সহ জেলার প্রায় সবকটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামে।
