সারাদেশে ৫০ লক্ষ সংখ্যালঘুকে সদস্য করা বিজেপির লক্ষ্য, প্রচারের নামছে সংখ্যালঘু মোর্চা

নয়াদিল্লি ২২ আগস্ট :বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সারাদেশে ৫০ লক্ষ সংখ্যালঘুকে সদস্য করা হবে । এজন্যে জামাল সিদ্দিকির সভাপতিত্বে আগামী ২৭শে আগস্ট একটি বিশেষ সভা ডাকা হয়েছে । মোর্চার সহ-সভাপতি একে আকরাম জানান, লক্ষ্য পূরণে বিশেষ গাইডলাইন করা হচ্ছে । বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি জামাল সিদ্দিকী সংবাদ সংস্থা এ এন আইকে বৃহস্পতিবার বলেন, নিসার হোসেন শাহ, মাওলানা হাবিব হায়দার, ফাহিম সাইফি মোঃ সাদ্দাম ডক্টর জাফরিন মেহজাবিনকে পলিসি নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সংখ্যালঘু মোর্চা প্রধান বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ হল বিজেপির আত্মা। আত্মা বিচ্ছিন্ন হলে দেহ অকেজো হয়ে যায়। বিজেপি সবকা সাথ, সবকা বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য সেবা (সেবা) এবং সত্তা (ক্ষমতা) নয়। ক্ষমতা পেলে আমরা আরও ভালোভাবে সেবায় নিয়োজিত হতে পারব। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেছেন, যারা আমাদের ভোট দেয় না তাদের জন্যও কাজ করতে হবে। এটি পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের অন্ত্যোদয়।”
দেশের উন্নয়নের জন্য সিদ্দিকি আরও বলেন, “এর মধ্যে থাকা প্রতিটি মানুষকে উন্নয়নের ফল পেতে হবে এবং নিরাপদ বোধ করতে হবে।”
উল্লেখ করা যায় যে , পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি মন্তব্যকে কার্যত কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং শিক্ষানবিশ নেতার মতো আচরণ বলে কড়া সমালোচনা করেছিলেন সংখ্যালঘু মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকি।তিনি বলেন, “শুভেন্দুর সংখ্যালঘু বিরোধী মন্তব্য করা ঠিক হয়নি।” পাশাপাশি বিরোধী দলনেতাকে নব্য বিজেপির তকমাও লাগিয়ে দেন তিনি। বলেন, “শুভেন্দু অধিকারি বিজেপিতে নতুন এসেছেন। তাই দলের নিয়ম জানেন না। বিজেপি সমর্কে জানতে হবে।” মাটির সঙ্গে বিরোধী দলনেতার কোনও যোগাযোগ নেই বলেও খোঁচা দেন জামাল সিদ্দিকি।
ক্ষোভ সামাল দিতে নেমে দলের অভ্যন্তরের বিভাজন আরও স্পষ্ট করেন রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের সঙ্গে দল একমত নয়। শুভেন্দু যা বলেছেন, সেটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মতামত বলে জানান সুকান্ত। সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি চার্লস নন্দীও।